খেজুরের গুণাবলী

খেজুরের গুণাবলী

খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। উদাহরণস্বরূপ খুরমা খেজুর।

খেজুরের গুণাবলী:

১) রুচি বাড়াতেও খেজুরের কোন তুলনা হই না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চাই না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।
২)) খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।
৩) খেজুরের মধ্যে অনেক গুন রয়েছে। যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। খেজুর নিয়মিত খেলে ত্বকে উজ্জলতা ভাব ফিরে আসে।
৪)খেজুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়ক। এবং প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাতকানা রোগ ভালো করতেও সাহায্য করে থাকে।
৫) পাতলা পায়খানা বন্ধ করে, খেজুরের খাওয়ার ফলে।
৬) খেজুরের চুর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।
৭) খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী।
৮) সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।
৯) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
১০) ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকার।
১১) খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।
১২) ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।
১৩) খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ – যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়তা করে।
১৪) স্নায়ুবিক শক্তিবৃদ্ধিতে খেজুর উপকারি। এইজন্য শিশুদের খেজুর খেতে দিতে হয়।
১৫) খেজুর রক্ত তৈরিতে বড় একটি কারখানা। সুতরাং খেজুর খাওয়াটা প্রয়োজন। খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী হিসেবে পরিচিত।
১৬) খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে। যার ফলে দেহের অনেক রোগ নিরাময়ের সাথে সাথে সবলও ফিরে আসে।

3 thoughts on “খেজুরের গুণাবলী

  1. I have been surfing online more than 3 hours today, yet I never found any interesting article like yours. It is pretty worth enough for me. In my opinion, if all web owners and bloggers made good content as you did, the web will be much more useful than ever before.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Lets Start Shopping With Green Grocery